প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় অনুষ্ঠিত এক অভিভাবক সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই ভালো ফলাফলের জন্য মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এবং জানান যে টেস্টে ফেল করলে কোনো তদবির বা সুপারিশে কাজ হবে না।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গোয়ালন্দ প্রপার হাই স্কুল প্রাঙ্গণে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএনও নাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে কোনো শিক্ষকের কাছেই প্রাইভেট বা কোচিং করতে পারে, তবে নির্দিষ্ট কোনো স্কুলের শিক্ষকের কাছেই পড়তে বাধ্য করার সুযোগ নেই। এটি হলে তা স্বৈরাচারী আচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থী যদি টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করে তাহলে অভিভাবকদের কোনো শিক্ষক বা জনপ্রতিনিধির কাছে গিয়ে সুপারিশ না করার অনুরোধ থাকবে। বরং সন্তানদের উপর নজর দেওয়াই হবে প্রধান দায়িত্ব। তিনি বলেন, স্কুল চলাকালে বিকাল চারটার আগে সন্তান বাসায় ফিরলে বুঝতে হবে সে স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে এসেছে, তাই এ বিষয়েও অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।
অভিভাবক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গোয়ালন্দ প্রপার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার দাসসহ অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক জীবন চক্রবর্তী। এতে শিক্ষা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, মতবিনিময় সভায় অনেক সমস্যা চিহ্নিত হয় এবং তা সমাধানের পথ বের হয়। অভিভাবকরা চাইলে এখানে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন, যা স্কুলের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
তিনি জানান, পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ভালো থাকলেও গত বছর আশানুরূপ ফল আসেনি। ১৯৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৭০ জন উত্তীর্ণ হওয়ায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান বাড়াতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জয়ন্ত কুমার দাস আরও বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকরা ইতিমধ্যেই কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। এর সঙ্গে অভিভাবকদের নিয়মিত নজরদারি যোগ হলে শিক্ষার্থীদের ফলাফল নিশ্চয়ই উন্নত হবে।
সমাবেশে বক্তারা একমত হন যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গোয়ালন্দ প্রপার হাই স্কুল আবারও ভালো ফলাফলের ধারায় ফিরতে সক্ষম হবে।