প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৩
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানাধীন সোহাগপুর বাজার এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম সোহাগকে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল। ২৮ বছর বয়সী রিয়াজুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ১৯ জুন ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় রুজু হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি ঠাকুরগাঁও জেলায় বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাদীর মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছিল। ভিকটিমের বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি হওয়ায় আসামি তাকে বিভিন্ন সময়ে অশালীন কথা এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত।
ঘটনার দিন, ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ রাত প্রায় ১টা ৪০ মিনিটে আসামি মোবাইল ফোনে গেম খেলার কথা বলে ভিকটিমকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একটি রুমে ডেকে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর পর ভিকটিমের পিতা রাণীশংকৈল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
র্যাব এই মামলাটি নজরদারি ও তদন্তে রাখে এবং তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামির অবস্থান সনাক্ত করার পর ১২ আগস্ট ২০২৫ সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে টাঙ্গাইলের সোহাগপুর বাজার থেকে রিয়াজুল ইসলাম সোহাগকে গ্রেফতার করে। এই গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার প্রেস রিলিজে জানান, যেকোনো প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য মেজর মোঃ কাওসার বাঁধনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। পাশাপাশি অনলাইনে সংবাদ প্রচারের পর সংশ্লিষ্ট লিংকটি প্রেরণের জন্যও বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে সমাজে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়টি পুনরায় গুরুত্ব পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এই ধরনের কার্যক্রমে জনগণের বিশ্বাস ও সমর্থন আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মামলার স্বচ্ছ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সকল সহযোগিতা ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। মানুষের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান রেখে আগামীতে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।