প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৩
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পরকিয়ার জের ধরে এক যুবদল নেতা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের কদম গাছের তলায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত রনি হোসাইন যুবদল কর্মী ছিলেন এবং তিনি আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাজুর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রনি হোসাইন তার ফেসবুক আইডিতে পরকিয়া সম্পর্কিত একাধিক পোস্ট করেন। বিশেষ করে তিনি একটি পোস্টে একজন মহিলার ছবি যুক্ত করে অভিযোগ করেন যে, শেখ রাজু বিবাহিত নারী নিয়ে হোটেলে ঘুরছে এবং পরকীয়া করছে। এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি রাজুর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়া রনি আরও কয়েকটি পোস্ট করে বিষয়ে প্রতিবাদ জানান।
স্থানীয়রা মনে করছেন, ফেসবুকে প্রকাশিত এই পরকিয়া বিষয়ক পোস্টগুলোর জেরেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা। তিনি জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অভিযোগ করা কখনও কখনও সংঘর্ষ ও হত্যা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। তারা এই ধরনের ঘটনা থেকে সাবধানতার সাথে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
খুন হওয়া যুবদল কর্মী রনির পরিবারও খুবই শোকাহত এবং তারা দ্রুত হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, রনি ছিলেন একটি মেধাবী ও সৎ ব্যক্তি, যার হঠাৎ মৃত্যু এলাকায় গভীর শোক ও মর্মাহত সৃষ্টি করেছে।
এই ধরনের বর্ণনামূলক সংঘর্ষ সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে মিথ্যা তথ্য, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
গোলাপগঞ্জের প্রশাসন এবং পুলিশ ঘটনা তদন্তে তৎপর রয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঘটনার প্রকৃত দায়ীকে আইনের আওতায় আনার আশা করা হচ্ছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্কতা বৃদ্ধির জন্য একটি নজির হয়ে থাকবে এবং সামাজিক মাধ্যমে তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও দায়িত্বশীল আচরণের গুরুত্ব পুনরায় প্রমাণ করবে।