প্রকাশ: ৭ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪০
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় সংঘটিত আলোচিত তেল ডাকাতির মামলায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল কর্তৃক এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে, যখন ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ডাকাতরা একটি ট্রাক থামিয়ে ভয়াবহ ডাকাতি সংঘটিত করে।
মামলার বাদী মো. আবুল বাশার নারায়ণগঞ্জের একটি পরিবহন সংস্থার স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জানান, ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০ ড্রাম ভোজ্যতেলসহ একটি ট্রাক জয়পুরহাটের উদ্দেশে পাঠানো হয়। পরদিন ভোর রাতে ট্রাকটি মির্জাপুরের শুভূল্যা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একদল দুষ্কৃতিকারী ট্রাক থামিয়ে চালক ও সহকারীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে দেয় এবং মালামালসহ নগদ ১০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় ০২ ডিসেম্বর একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়, যার নম্বর ০২। মামলায় দণ্ডবিধির ১৭০, ১৭১ ও ৩৯৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলার পরপরই র্যাব-১৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালায়।
গত ৬ আগস্ট রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর আগে, গত ১৪ জুন নেত্রকোনা জেলার অলি আহমেদ এবং ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত তিনজন সন্দিগ্ধ আসামিকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে মির্জাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ এই ডাকাতচক্র দীর্ঘদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাককে টার্গেট করে ডাকাতি করে আসছিল। তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর ভুয়া ডিবি পরিচয়ে সড়কে ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী ও চালকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। নিরাপদ সড়ক পরিবহন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।