প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া এস.কে. বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রী লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন যে শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও কু-প্রস্তাবসহ শারীরিক ভাবে তাদের হেনস্তা করে আসছিলেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ক্লাসরুমে নিজের মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ভিডিও দেখানোর পাশাপাশি ছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া, আপত্তিকর মন্তব্য করা এবং নুপুরের শব্দ শুনে ‘শরীর শিহরিত হয়’ ধরনের বক্তব্য দেন।
ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেছেন, শিক্ষক তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নানা অশালীন কথা বলেন। এমনকি বোরকা এলোমেলো থাকলেই ‘সব দেখে ফেলেছি’ বলে হুমকি প্রদান করেন।
অভিযুক্ত মো. নাসির উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ক্লাসে কখনো কথার রসিকতা করি, হয়তো কোনো কথায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে যদি প্রমাণ থাকে, তা দেখানো হোক।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আকন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি যাচাই করা হয় এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যা তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন করার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম. হারুন-অর-রশীদ নিজে বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করবেন এবং প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
ঝালকাঠি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বার বলেন, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তারা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টিকে গম্ভীরতার সঙ্গে নিয়েছে এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট।