প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৯
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যৌতুকের জন্য সাঈদা আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার বসুরহাট জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন নিহত পপির স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী। বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নিহত পপি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মক্কা নগরের বাসিন্দা শফি উল্যাহ শিপনের স্ত্রী। তিনি একই গ্রামের ইলিয়াস চুকানি বাড়ির শামসুদ্দিন কাজলের মেয়ে। গত ২৩ জুলাই গভীর রাতে পাঞ্জাবি আলাদের বাড়িতে নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
বক্তারা জানান, সাত বছর আগে পপির বিয়ে হয় শিপনের সঙ্গে। দুই ছেলের জননী পপি বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন। কয়েক দফা সালিশ হলেও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি।
ঘটনার দিন রাতভর নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে দাবি স্বজনদের। পরদিন সকালে হাসপাতালে নেওয়ার নাটক সাজিয়ে মরদেহ রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় তারা আত্মহত্যার প্রচারণাও চালায়।
নিহতের মা খাইরুন নাহার অভিযোগ করেন, থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সহযোগিতা করেনি। পরে তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। তিনি তার মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্ত স্বামী শফি উল্যাহ শিপনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকায়ও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, মরদেহ সন্দেহজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় শ্বশুরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।