প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৬
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার ঝাঁজে একদিনে ৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪৫৩ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই ঘটনার ফলে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৫৮৬ জনের ওপরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৮৯টি মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহতদের সংখ্যা চারশোরও বেশি। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে অথবা রাস্তায় পড়ে রয়েছে, যেখানে উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। পরিস্থিতি ক্রমেই মানবিক সংকটে পরিণত হচ্ছে।
ইসরাইলের বর্বরোচিত এই হামলা গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন। তৎকালীন যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৮ হাজার ৪৪৭ জন নিহত এবং ৩১ হাজার ৪৫৭ জন আহত হয়েছে।
ত্রাণ সংগ্রহের জন্য কাজ করতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে ত্রাণ কার্যক্রমের সময় ১ হাজার ৮৩ জন নিহত এবং ৭ হাজার ২৭৫ জন আহত হয়েছে। এই পরিস্থিতি গাজার মানুষদের জন্য এক ভয়াবহ মানবিক দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্ব সম্প্রদায় ফিলিস্তিনে চলমান এই সহিংসতা থামানোর জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে হামলা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে তাতে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি।
গাজার সাধারণ মানুষ অতীতের তুলনায় এ মুহূর্তে এক বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারা খাবার, পানি, ওষুধসহ মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম করছে। পরিস্থিতি দিনদিন আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে।
এ সংঘর্ষের অবসান এবং গাজার দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জরুরি প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি।