প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৬
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. মিল্লাত হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় মো. আফছার নামের আরেক ব্যক্তি আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩এস নম্বর পিলার অতিক্রম করে মিল্লাত ও আফছার ভারতের অভ্যন্তরে তারকাটার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুজনকেই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাত হোসেন মারা যান।
নিহত মিল্লাত হোসেনের বয়স ২১ বছর এবং তিনি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিলেন। আহত আফছারের বয়স ৩১ বছর এবং তার অবস্থাও গুরুতর বলে জানা গেছে। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করেন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকা চোরাকারবারির জন্য পরিচিত। ঘটনার পরপরই বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুরো পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে।
তিনি আরও জানান, এই গুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্থানীয়দের মধ্যে এ ঘটনার পর ব্যাপক ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার এবং বিএসএফের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে মিল্লাতের পরিবারের সদস্যরা এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। সীমান্তের এই ধরণের ঘটনায় বারবার নিরীহ নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।