প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:২১
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস ছড়ানো কুখ্যাত শফি ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য রুবেলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করেছে র্যাব-১৫। মঙ্গলবার বিকেলে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা এলাকার ডাকাত খালেকের বাড়ি থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র্যাব জানায়, অভিযানের শুরুতেই ডাকাত শফি ও তার সহযোগীরা গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে গেলেও রুবেলকে একটি লোডেড অস্ত্রসহ ধরে ফেলা হয়। রুবেল পশ্চিম লেদার বাসিন্দা আব্দুল
গফুরের ছেলে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে একটি শটগান, তিনটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, বারোটি তাজা গুলি, বত্রিশটি খালি কার্তুজ ও দুটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব জানায়, ওই সময় শফি ডাকাতের সঙ্গে যারা ডাকাতির প্রস্তুতিতে ছিল তাদের মধ্যে রয়েছে আলম, খালেক, সৈয়দ নূর, রাসেল ওরফে আব্বুইয়া, কামাল হোসেন, আনোয়ার সাদেক, আব্দুর রহমান, রবিউল হাসান ওরফে রবিয়া, আব্দুল আউয়াল ওরফে বুড়া পতিয়া, মোহাম্মদ আসিফ ও ইমাম হোসেন। এরা সবাই মোছনী ও পাশ্ববর্তী
লেদা এলাকার সক্রিয় সশস্ত্র ডাকাত। র্যাব জানিয়েছে, এই গ্রুপটি পাহাড় ও সমতল এলাকায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে ডাকাত খালেক নতুন করে একটি সশস্ত্র দল গঠন করে শফির সহায়তায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। কুখ্যাত শফি ডাকাতের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতির প্রস্তুতি, মারামারি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ মোট ১৭টি মামলা
রয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, শফি ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং কক্সবাজার জেলাজুড়ে সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, মাদক কারবারি ও অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলবে। অন্যদিকে, টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শফি ও আলম ডাকাত দলের দুই গ্রুপের মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজনা চলছে, যার ফলে ক্যাম্প এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং দিনদুপুরে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়।