প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১৬:২৬
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর ফেরত আসা সাতজন বাংলাদেশিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ১০৮৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন নারী এবং তিনজন পুরুষ, যাদের মধ্যে একাধিকজন একই পরিবারের সদস্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর চারটার দিকে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিলেন। ঘটনাটি টের পেয়ে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়ার সহায়তায় এলাকাবাসী তাদের আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বেলায়েত খান ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম, যারা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বাসিন্দা। তাসলিমা ও তার ছেলে কুরবান আলী ফরিদপুরের মুকসুদপুর থেকে, সুমি আক্তার ও রুমি আক্তার সোহাগী খুলনার খালিশপুর এলাকার এবং মায়া নামের একজন নারী বরগুনার পাথরঘাটা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শকের আহাম্মেদ বলেন, আটককৃতদের পরিচয় যাচাই করে দেখা গেছে তারা দালালচক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ভারতে যান কাজের সন্ধানে। কিন্তু সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এই পুশ ইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা ফের বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এই ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং দালালচক্রের অপতৎপরতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্রতিবছর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কড়া নজরদারি এবং দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে। বিশেষ করে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাগুলো থেকে সহজে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকেই অবৈধ পথে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।