প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর ঘটনায় মূল হোতা শাহ পরানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার আমলি আদালত-১১-এর বিচারক মমিনুল হক এই আদেশ দেন। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার মূল অভিযুক্ত ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরান ধর্ষণ পরবর্তী ভিডিও ধারণ ও পরিকল্পিতভাবে তা ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
৬ জুলাই শাহ পরানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ৩ জুলাই বুড়িচং উপজেলা থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে এক নারী ধর্ষণের শিকার হন এবং তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ওই নারীর করা দুটি মামলায় পুলিশ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় আরও চারজনকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে। এই চারজন হলো মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ। মঙ্গলবার এই চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তি না দিয়ে কারাগারে ফিরে যায়।
ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। পুলিশ জানিয়েছে, তার চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতে তোলা সম্ভব নয় এবং চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেতে দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।এলাকায় এই ঘটনার কারণে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং জনমনে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশাসন বলছে, মামলার সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং বাকিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।