প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৫
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে লুৎফর রহমান নামের এক যুবককে হাসুয়াসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত লুৎফর নাগেশ্বরী উপজেলার সরকারটারী গ্রামের বাসিন্দা এবং শনিবার তাকে কুড়িগ্রাম জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহতরা ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ওই দিন বিকেলে লুৎফর তার আহত আত্মীয়দের দেখতে সেখানে গেলে তার সঙ্গে দুটি ধারালো হাসুয়া ছিল, যা দেখে প্রতিপক্ষ দলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা চিৎকার শুরু করে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে।
ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, লুৎফর হাসুয়া দুটি মেরামতের পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে হাসপাতালে প্রবেশ করেছিলেন। তাদের মতে, এটি কোনো হুমকি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল না বরং নিছক পারিবারিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পরিবহনের অংশ ছিল। তবে আহত প্রতিপক্ষের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, লুৎফরের হাতে হাসুয়া দেখে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ভয়ভীতি প্রদর্শনের অংশ বলেই সন্দেহ করছেন।
অভিযুক্ত লুৎফর রহমান নিজের বক্তব্যে বলেন, কামারশালা থেকে হাসুয়া নিয়ে আসার পরপরই তিনি হাসপাতালে স্বজনদের দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, প্রতিপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে এবং ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, রোগীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন, যেহেতু ধারালো অস্ত্রসহ হাসপাতালে উপস্থিতি ছিল এবং এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, তাই প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।