হিলি বন্দরে শ্রমিকদের বিজয়, কাজে ফিরলেন সবাই

এর আগে, দুপুর থেকে আমদানিকৃত পণ্য খালাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছিলেন শ্রমিকরা। তাদের দাবি ছিল, ভারত থেকে আমদানিকৃত প্রতিটন পণ্য খালাসের বিপরীতে আদায় করা অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ — ছয় ভাগের এক ভাগ — শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে। অভিযোগ ছিল, কিছু শ্রমিক সরদার (নেতা) এই অর্থ আত্মসাৎ করছেন, যার ফলে সাধারণ শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

শ্রমিক ঐক্য পরিষদ '৩০ গ্রুপ' সমন্বয় কমিটির সরদার হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। টাকার বণ্টনে অনিয়ম হচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার দিকে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসে শ্রমিকদের দাবির যৌক্তিকতা মেনে নেয় এবং চুক্তির মাধ্যমে পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরে বন্দর।

হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত প্রতিটন পণ্যের জন্য ৭৩.১৭ টাকা আদায় করা হয় আমদানিকারকদের কাছ থেকে, যার মধ্যে ১৫% ভ্যাট, সরকার পায় ৪৯% এবং বাকি ৫১% বন্দর কর্তৃপক্ষের হিস্যায় যায়।

বন্দরের ব্যবস্থাপক অশিত কুমার স্বর্ণাল বলেন, “শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক ছিল। আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।”