প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৮:৫৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর দুই শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এখনও পর্যন্ত শিশুদের কাউকে উদ্ধার করতে না পারায় সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তেমনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এ ঘটনায় শিশুদের পরিবারসহ সচেতন মহল পুলিশি কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিখোঁজ হওয়া শিশুরা হলেন কালকিনি পৌর এলাকার কাশিমপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাসির মৃধার মেয়ে নাছিমা আক্তার (৮) এবং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চর জায়গির গ্রামের দুবাই প্রবাসী রেজাউল করিম বাবুর মেয়ে ইসরাত (৮)। দুজনই স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৪ জুন রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়ে নিখোঁজ হয় নাছিমা। রাত ১১টার দিকে অনুষ্ঠান থেকে আর বাড়ি ফেরেনি সে। পরবর্তীতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও ছয় দিন পার হলেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নাছিমার খালা সাবিনা বেগম জানান, কারা তার ভাগিনিকে নিয়ে গেল, নাকি তাকে হত্যা করে ফেলা হয়েছে—কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তিনি ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি জানান। অপরদিকে ১৮ জুন সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ইসরাত। তার বাবা রেজাউল করিম বাবু বলেন, মেয়ের নিখোঁজের খবর পেয়ে তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন ঘটনার পরেও পুলিশের তৎপরতা খুবই কম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, পুলিশের আন্তরিকতা থাকলে শিশুদের উদ্ধারে অগ্রগতি হতো। তারা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানা জানান, নাছিমার বিষয়ে তদন্ত চলছে তবে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। অন্যদিকে ইসরাতের বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে তিনি জানান। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে গেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন প্রশাসনের প্রতি। এই ধরণের ঘটনা রোধে পুলিশ ও প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছে সাধারণ মানুষ।