প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৮:৪০
মৌলভীবাজারে জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) জেলা সমন্বয় কমিটির নতুন তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে খালেদ হাসানকে মনোনীত করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে স্থান পেয়েছেন ফাহাদ আলম, এহসান জাকারিয়া, মো. ইকবাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন। নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে কৌশিক দে, জাহাঙ্গীর আলম, বৈশিষ্ট্য গোয়ালা, তামিম আহমেদ প্রমুখ রয়েছেন। এই কমিটি আগামী তিন মাস অথবা নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কমিটির ঘোষণা ফেসবুকে প্রকাশিত হবার পর অনেকেই ফাহাদ আলম ও বৈশিষ্ট্য গোয়ালার ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক থাকার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বিভিন্ন মিছিল ও সভায় তাদের অংশগ্রহণের ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বৈশিষ্ট্য গোয়ালার রাজঘাট ইউনিয়নের যুবলীগ সেক্রেটারি হিসেবে কর্মজীবন ছিল বলে জানা গেছে। বৈশিষ্ট্য গোয়ালা দাবি করেছেন, তিনি যুবলীগের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক রাখেন না এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে ফাহাদ আলম বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই, তবে অতীতে তিনি ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফেসবুকে আলোচনায় একজন লেখেন, ফাহাদ আলম পূর্বে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ব্যবসার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করেছেন। শ্রীমঙ্গল পৌর ছাত্রদলের এক নেতাও বলছেন, এনসিপিতে জনমুখীতার অভাব এবং সুবিধাবাদী পোলাপান দলে স্থান নিয়েছে।
প্রধান সমন্বয়কারী খালেদ হাসান এই বিষয়গুলো নিয়ে বলেছেন, কমিটির বেশির ভাগ সদস্য ব্যবসায়ী বা ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বৈশিষ্ট্য গোয়ালার কমিটিতে থাকা নিয়ে তিনি নিজেও অবগত নন এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তার অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের আগে দলের কার্যক্রম ও নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা চলবে। এছাড়া খালেদ হাসান বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং ছাত্রজীবনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, পরে রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়তা কমে যায়।
কমিটির নতুন গঠন নিয়ে জেলা পর্যায়ে চলছে নানা জল্পনা ও সমালোচনা। অনেকেই আশা করছেন দলের গঠন দ্রুত সুষ্ঠু ও জনমুখী হবে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে এনসিপির কার্যক্রম আরো শক্তিশালী হয়। তবে বর্তমানে কমিটির সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয় ও যোগসূত্র নিয়ে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।