প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৮:২৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মধু মাস জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই সরাইল উপজেলার বাজারগুলো রঙিন হয়েছে নানা রকম রসালো মৌসুমি ফলে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, গাব, তালশাঁসসহ বিভিন্ন ফলের পসরা সাজানো হয়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। মৌসুম শেষ হলেও বেল ও তরমুজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে। সরাইল বাজারের পাশাপাশি কালিকচ্ছ, শাহবাজপুর, বিশ্বরোড়, অরুয়াইলসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং ভ্যানগাড়িতে ফল বিক্রি চলছে। পসরা গুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও দাম কিছুটা চড়া হওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা পরিমাণ কম করে ফল কেনাকাটা করছেন।
বিক্রেতাদের কথায়, বর্তমানে আম ও লিচুর দাম বেশি হওয়ায় এসব ফল ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। সরাইল উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড় ও ফল বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। কেউ লিচু নিয়ে বসেছেন, কেউ কাঁঠালের স্তূপ সাজিয়ে রেখেছেন, আবার কেউ আম ও আনারস বিক্রি করছেন। বাজারে এখন আম ও লিচুর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আগামী এক থেকে দেড় মাস পরে ফলের সরবরাহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উচালিয়া পাড়া মোড়ের লিচু বিক্রেতা মুইদর বাদশা জানান, বর্তমানে বাজারে আসা লিচুগুলো আকারে একটু ছোট, তবে রাজশাহী ও বিজয়নগর থেকে আমদানিকৃত রাজশাহীর বোম্বে লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১০০ লিচুর দাম বর্তমানে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং বোম্বে লিচুর দাম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সরাইল বাজারের আরেক বিক্রেতা হোসেন জানান, এখন রাজশাহীর আম বেশি আসছে যা আগামী ১০-১৫ দিন বাজারে থাকবে। তিনি বলেন, আমের অন্যান্য জাত বাজারে আসলে এদের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে।
বর্তমানে গুটি আমের দাম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ ১০০ টাকা, নাক ফজলি ৯০ টাকা, আর হিমসাগর আম ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আম ছাড়াও কালোজাম, কাঁঠাল, তালশাঁস, আনারস, দেশি ডেউয়া, জাম এবং ড্রাগন ফলের চাহিদাও ভালো। তালের শাঁস প্রতি পিস ১০ টাকা ও আনারস ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠালের দাম ১২০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে থাকলেও মান ও আকারভেদে পরিবর্তিত হয়।
বিশ্বরোড়ের খুচরা ফল বিক্রেতারা জানান, এই সময় বাজারে একসঙ্গে অনেক ফল পাওয়া যায়। মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি থাকলেও বিক্রি ভালো হচ্ছে। ফলের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে বলে তারা আশা করছেন।