প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১৬:১২
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আজমকে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতে গিয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ধরা পড়েন। গ্রেপ্তারকৃত আজম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিনাপানি গার্স স্কুল রোড এলাকার মৃত মইনুদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল যে জি এম শাহাবুদ্দিন আজম ভারতে পালাতে পারেন। সেই অনুযায়ী ইমিগ্রেশন বিভাগের সব কর্মকর্তাকে সতর্ক করে রাখা হয় যাতে তিনি দেশ ত্যাগ করতে না পারেন।
ঘটনার দিন সকালে আজম যখন ইমিগ্রেশন ডেস্কে নিজের পাসপোর্ট জমা দেন, তখন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তা যাচাই করে দেখেন তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। যাচাই শেষে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন মুন্সি বলেন, আগে থেকেই আমাদের কাছে তথ্য ছিল তিনি ভারতে যেতে পারেন। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে তিনি ধরা পড়েন এবং তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গোপালগঞ্জ সদর থানার একাধিক মামলার আসামি। তাই প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে গোপালগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে গোপালগঞ্জ পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের উপস্থিতিতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এই গ্রেপ্তারে দলীয় ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এ ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনায় গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও দলীয় ভিতরে চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টি তদন্তে প্রশাসনও এখন সচেষ্ট।