প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১১:৪৪
মাদারীপুরে শুক্রবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে ঈদুল আযহার জশ্ন উদযাপন করেছেন ২৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। জেলার সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ওই জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান ঈদের প্রধান জামাত পড়ান। নামাজ শেষে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন মানুষ।
ঐতিহ্যবাহী সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ’ বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করে আসছেন। এ ধারাবাহিকতা মাদারীপুরের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ আজও অব্যাহত রেখেছেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে জেলার সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুকসহ আরও কয়েকটি গ্রামে ঈদ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের দিন মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে উৎসবকে সামনে নিয়ে যান। সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ মো: সাগর দেওয়ান জানান, এখানকার ধর্মপ্রাণরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সমন্বয়ে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। এই ঐতিহ্য প্রতি বছর মেনে চলা হয়।
তাল্লুক গ্রামের বড় ঈদ জামাতে কয়েকশ’ মানুষ একত্রে নামাজ আদায় করেন। জেলার অন্যান্য গ্রামেও আলাদা আলাদা ছোট ছোট ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মানুষ প্রাতঃকাল থেকেই মসজিদে হাজির হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মাদারীপুরের স্থানীয়রা জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এই উৎসব পালন করে তারা নিজ নিজ সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পেরে গর্বিত। এভাবেই এই অঞ্চল প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।