প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১১:২৯
ঈদুল আজহার একদিন আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা দিয়েছে চরম যানজট। যানজটের এ তীব্রতা ছড়িয়ে পড়েছে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে, ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন উত্তরবঙ্গমুখী ঘরমুখো যাত্রীরা।
শুক্রবার সকাল থেকেই যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়ে, বিশেষ করে চন্দ্রা নবীনগর ও চন্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায়। ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরছেন। ফলে সড়কে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, পিকআপ ও মোটরসাইকেলের চাপ একসাথে বেড়ে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে।
বিশেষ করে পশুবাহী গাড়িগুলোর অবস্থা ছিল শোচনীয়। নওগাঁ থেকে গরু নিয়ে আসা চালক মিজানুর বলেন, রাত ১০টায় রওনা দিয়েও সকাল ৯টা পর্যন্ত মাত্র কালিয়াকৈরে পৌঁছেছেন, ঢাকায় কখন পৌঁছাবেন তা নিয়েই সংশয়ে আছেন। এই যানজট তাদের জন্য আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পশুর স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।
প্রতিদিনের চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এবং সড়কের পাশে ও মাঝখানে যাত্রী ওঠানামার কারণে সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে। অনেক গণপরিবহনের চালকরাই যাত্রী নামিয়ে দিয়ে আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছেন, এতে করে যানজট নিরসনের কোনো সুফল মিলছে না।
এদিকে পরিবহনের সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেক যাত্রী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরছেন। শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের জন্য এই ভ্রমণ হয়ে উঠেছে অসহনীয়।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার এক কর্মকর্তা জানান, যাত্রীদের চাপে এবং অসংগঠিতভাবে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার ফলে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।
তবে সড়কে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও এই দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চরমে। ঈদের আনন্দের পরিবর্তে যাত্রাপথে দুর্ভোগকেই এবার মেনে নিতে হচ্ছে লাখো ঘরমুখো মানুষকে।
জনসাধারণের প্রত্যাশা, ঈদের দিনটির আগেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং স্বস্তির যাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।