প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৮
ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহন, সড়কে দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় বুধবার (৪ জুন) মধ্যরাত থেকে যান চলাচলে এ ভোগান্তি শুরু হয়।
রাতের অন্ধকারে শুরু হওয়া এই যানজট ধীরে ধীরে মহাসড়কের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রাবনা বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে চলতে থাকে যানবাহন। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। যানজটে আটকে পড়ে শত শত যানবাহন, যার মধ্যে ছিল নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সব ধরনের যাত্রী। গরম, ধুলা আর ক্লান্তিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই।
চালকদের অভিযোগ, পাকুল্যা থেকে শুরু করে টাঙ্গাইলমুখী সড়কে যানজট শুরু হয় মধ্যরাত থেকেই। যানজট ছড়িয়ে পড়ে এলেঙ্গা, রাবনা বাইপাস, হাটিকুমরুল পর্যন্ত। এতে ঈদের আগে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা লাগে সাধারণ মানুষের।
ভোগান্তি শুধু যাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। মহাসড়কে আটকা পড়ে শতাধিক পশুবাহী ট্রাকও। এসব ট্রাকে থাকা গরু-ছাগল প্রচণ্ড গরমে হিমশিম খেতে থাকে। ফলে পশু ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ জানান, টোল প্লাজা থেকে শুরু হওয়া যানজট যমুনা সেতু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে যানবাহন ধীরে ধীরে চলাচল করছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। তবে ঈদের আগে আরও চাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও মহাসড়কে যানজট রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকায় প্রতিবছরই ঈদযাত্রা দুর্ভোগে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।