প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৭:২৯
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং অমাবস্যার প্রভাবে কুয়াকাটা সৈকতে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিপর্যয়। থেমে থেমে ধমকা হাওয়া আর ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনো পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
রাতভর চলা জলোচ্ছ্বাসে কুয়াকাটা সৈকতের পাশে থাকা সড়কের গাইডওয়াল ধ্বসে পড়েছে। ঝিনুক মার্কেট ও সরদার মার্কেট সহ কয়েকটি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে ডিসি পার্ক ভবন, ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দিরসহ নানা স্থাপনা।
সৈকত রক্ষায় স্থাপিত জিও ব্যাগ ও জিও টিউবগুলোও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন বিভাগের সবুজ অরণ্যভাগ ঢেউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। সমুদ্রের এই রুদ্ররূপে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
একই সঙ্গে অতি বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে মাছের ঘের, কৃষি খামার ও মৌসুমি ফসলের। বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতির পাশাপাশি মানুষকে কাটাতে হয়েছে আতঙ্কিত নির্ঘুম রাত।
উপকূলবাসীরা অভিযোগ করেছে, তিন নম্বর সংকেত থাকলেও যথাযথ সতর্কতা বা পূর্বাভাস ছিল না রেড ক্রিসেন্ট কিংবা সিপিপি’র পক্ষ থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়া বার্তার কারণে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের উপস্থিতি কমেছে। অধিকাংশ হোটেল ও রিসোর্ট ফাঁকা থাকলেও কিছু দর্শনার্থী রয়ে গেছেন সৈকতে। তবে তাদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনস্পেক্টর শওকত হোসেন জানিয়েছেন, সমুদ্রের দুরন্ত রূপে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায় মাইকিং করে পর্যটকদের সাবধান করা হচ্ছে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা।