প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৬:২০
নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলকর্মী আবুল হোসেন রাফি হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হলেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জনমনে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী, স্বজন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, রাফির হত্যাকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।
বক্তব্যে ছাত্রদলের অশ্বদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, একজন নিরপরাধ তরুণকে যারা হত্যা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার না হওয়া এই রাষ্ট্রের ব্যর্থতার প্রমাণ। তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী গিয়াস উদ্দিন শাহীনকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে অলিপুর গ্রামে ফুটবল খেলতে গিয়ে এক বন্ধুর আঘাতের ঘটনায় রাফি তাকে নিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক শাহীনের কাছে যান। কিন্তু চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাফিকে ছুরিকাঘাত করেন শাহীন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় রাফিকে। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে এবং ক্রমেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী।
রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ ঘটনার পর সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক রয়েছে এবং তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে, পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাফির নির্মম মৃত্যু নিয়ে। এলাকাবাসীর একটাই দাবি, ঘাতককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।