প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১৬:২৭
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল এলাকায় মজনু গ্রুপ নামে পরিচিত এক চক্রের পাঁচ ডাকাত ও চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গত শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতার হয়। অভিযানে বড় পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে পাংশা ও কালুখালী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
অভিযানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাজবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের আভিযানিক দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে জামালপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। আটককৃতদের নাম হল মো. মজিবুর রহমান, সাজেদা বেগম, আবু সায়েম, মো. সুলতান আলী মোল্লা ও জসিম মন্ডল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ৯ মিমি পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড গোলাবারুদ, তিনটি শুটার বন্দুক, ব্যাটন, ছুরি, হকিস্টিক সহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে তিনটি স্মার্টফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেকবই, এটিএম কার্ড, মদের বোতল ও অন্যান্য সামগ্রী।
গ্রেফতারকৃতরা মজনু গ্রুপের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে কালুখালী ও পাংশা উপজেলায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল। তারা এলাকায় নানাভাবে সন্ত্রাস ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে ভয় ও অশান্তি সৃষ্টি করছিল। অভিযান শেষে তাদের এবং জব্দকৃত অস্ত্রশস্ত্রগুলো কালুখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, এই অভিযান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি দমন করার অংশ এবং এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসীও যৌথ বাহিনীর এই সফল অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং আশা করছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ থেকে তারা মুক্তি পাবে।
এই অভিযানের মাধ্যমে রাজবাড়ীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা এখন শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন এবং অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন।