বিআরটিএ দালাল চক্রের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী!

সাংবাদিকদের হাতে আসা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুলাল আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। অথচ বর্তমানে তিনি বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজেকে দলীয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সক্রিয় রয়েছেন। তার এই দ্বৈততা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে হাইব্রিড রাজনীতির দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন, যা দলীয় শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

এখানেই শেষ নয়। দুলালের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বর্তমানে মিরপুর বিআরটিএ অফিসে দালাল চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে তিনি বেআইনিভাবে ফিটনেস সনদে সিল মারছেন এবং সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। এমনকি, সাংবাদিকরা তার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে চাইলে তাদেরও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম ব্যবহার করে নিজের প্রভাব বিস্তার করছেন, যা জনমনে ভীতির পরিবেশ তৈরি করছে। প্রশাসনের নিরবতা ও উদাসীনতা এ বিষয়ে আরও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ ধরনের ব্যক্তি সম্পর্কে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কারণ দুলালের মতো ব্যক্তিরা শুধু দলের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ন করছে না, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনাস্থার জন্ম দিচ্ছে।

রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে হলে এ ধরনের হাইব্রিড নেতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও দলীয় উভয় পর্যায়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত দুলালের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (নাম্বার ০১৭১০-----৩৩২) একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।