প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ২০:৫৯
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচনের নাম শুনলেই সরকারের গা জ্বলে। কারণ তারা জানে নির্বাচন হলে বিএনপিই জয়ী হবে। তাই নির্বাচন দিতে তারা ভয় পায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির বিভাগীয় সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে শুধু একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে। দেশের মানুষও চায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনই পারে দেশকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরিয়ে আনতে। অথচ সরকারের আচরণ দেখে মনে হয় নির্বাচন শব্দটাই যেন নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু গত আট মাসেই ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন—এই চাঁদাবাজি করছে কারা? বিএনপি তো এখন ক্ষমতায় নেই, তাহলে এইসব অপকর্মের জন্য দায়ী কে?
আওয়ামী লীগ সরকারের সাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, যদি সত্যিকারের সাহস থাকে, তাহলে এইসব চাঁদাবাজদের ধরুন। কিন্তু সরকার তা করতে পারবে না, কারণ তারাই এসব অপকর্মে জড়িত। বিএনপির মধ্যে এখন কোনো চাঁদাবাজ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপির ভবিষ্যত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন বিএনপির সুদিন চলছে না। এখনো দল ক্ষমতায় আসেনি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরেননি। তাই নেতাকর্মীদের উলটাপালটা চিন্তা না করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে।
তারেক রহমানকে নিয়ে তিনি বলেন, তাকে সময়মতো দেশে ফিরতে হবে। কারণ অতীতে জিয়াউর রহমানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মাথায় রেখেই সাবধানে চলতে হবে। তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকেও বিএনপিকে শক্তিশালী করেছেন বলেও জানান তিনি।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দলের ভেতরে সুবিধাভোগী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের অপকর্মে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে এবং আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ঘরানার কেউ যেন ছদ্মবেশে দলে ঢুকতে না পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যেমন মিডিয়ার স্বাধীনতা ছিল না, তেমনি এই সরকারের আমলেও মিডিয়া সত্য কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না। শুধুমাত্র সরকারের প্রশংসা করতেই বাধ্য করা হচ্ছে।