নোয়াখালীর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এই হামলা চালানো হয়।
পিন্টু বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেলযোগে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের একটি দল বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় ভাঙচুর করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়।
পিন্টুর স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী বলেন, হামলাকারীরা বাইরে রাখা তিনটি গাড়িও ভেঙে দেয়। পরে তারা নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে এই তান্ডব চলে। আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।
জয়ন্তী আরও জানান, হামলাকারীরা শুরুতে "জিয়ার সৈনিক" শ্লোগান দিয়েছিল। তবে তাদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। ঘটনার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থান পরিদর্শন করেন।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো এই ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, "এ ধরনের হামলা আমাদের দলের নীতি ও আদর্শের বিরোধী। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।"
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, হামলার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে পিন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে পরিবারটি নানাভাবে হুমকির শিকার হচ্ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে তদন্ত চলছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় প্রশাসন।