দেবীদ্বারে পাওনা টাকার জেরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!

নিহত সফিউল্লাহ ভানী গ্রামের কেরুর বাড়ির বাসিন্দা, মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিনের পুত্র। ঘাতক রাসেল ত্রিবিদ্যা গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে এবং একজন অটোরিকশা ও ভ্যান মেকানিক।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সফিউল্লাহ ও রাসেল দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন। একে অপরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, একসাথে খাওয়া-দাওয়া ও আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিল তাদের। প্রায় ৪ মাস আগে সফিউল্লাহ রাসেলের কাছ থেকে ৪০-৪৫ হাজার টাকা পাওনা দাবি করলে তাদের মধ্যে প্রথম দফায় হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দুই বন্ধুকে মিলিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে রাসেলের গ্যারেজে আবারো টাকার বিষয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত রাসেল গ্যারেজে থাকা একটি রড দিয়ে সফিউল্লাহর মাথা ও মুখে একাধিক আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই সফিউল্লাহর মৃত্যু হয়। এরপর রাসেল দোকান বন্ধ করে চলে যায় এবং সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী সবুজকে ফোনে হত্যার কথা জানায়।

সবুজ স্থানীয়দের নিয়ে গ্যারেজে গিয়ে সফিউল্লাহর মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। দেবীদ্বার থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম শোকে মুহ্যমান, বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। তিনি এখন তিন কন্যা ও তিন নাবালক সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ঘাতক রাসেল ও তার পিতা কেরামত আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”