প্রকাশ: ৩ মে ২০২৫, ১৯:৫৭
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সীমান্ত পেরিয়ে মাদক পাচারের সময় একটি মাইক্রোবাস থেকে বিদেশি মদের বোতলসহ দুইজনকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার রাতে রত্নাই সীমান্তের বারোসা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রত্নাই বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহলদল আগেই ওই এলাকায় ওৎ পেতে ছিল। রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রো ছ-১৪-০৯৩৬ নম্বরের একটি সুপার জিএল মাইক্রোবাসে করে মাদক পাচারের সময় সেটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ৭৫০ মিলিলিটার ওজনের একটি বিদেশি সিগনেচার মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আটক হন দুইজন। একজন হচ্ছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুস সোবহানের ছেলে ও সাবেক সেনাসদস্য রতন (৪২)। অন্যজন হচ্ছেন বালিয়াডাঙ্গী থানা সংলগ্ন ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা ও মাইক্রোবাস চালক দবিরুল ইসলাম (৩৬), যিনি মরহুম ঠিকাদার খোরসেদ আলমের ছেলে।
বিজিবি জানায়, অভিযানে আটককৃত মাদক কারবারী ও চালককে রাতেই বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী বলেন, বিজিবির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটককৃতদের শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কখনও হেরোইন, ফেনসিডিল বা গাঁজা, আবার কখনও বিদেশি মদ এই রুট দিয়ে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও পাচারকারীরা নানা কৌশলে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার সাবেক সেনাসদস্য আটক হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জনগণ মনে করছে, কড়া নজরদারি ও স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকলে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবাহ ঠেকানো কঠিন হবে। তারা মাদক পাচার বন্ধে আরও কঠোর অভিযান ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।