নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় এক যুবলীগ নেতাকে তার ভাতিজিকে (১৯) নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) চরঈশ্বর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই ইউনিয়নের চরলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং তিন সন্তানের জনক। নিখোঁজ মেয়েটি তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি।
মেয়েটির বাবা রোববার হাতিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, "আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।"
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিপন ও নিখোঁজ মেয়েটি প্রতিবেশী ছিলেন। মেয়েটির বাবার সাথে রিপনের সুসম্পর্ক ছিল। রিপন প্রায়ই তাদের বাড়িতে যেতেন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটাতেন।
কিন্তু মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, রিপন তাকে কলেজে যাওয়ার পথে হয়রানি করতেন এবং এক পর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি বাবাকে জানানোর পর রিপন ও তার পরিবার তাদের হুমকি দিতে শুরু করে।
মেয়েটির বাবা জানান, শনিবার সকালে মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রিপন ও তার সঙ্গীরা তাকে জোর করে নিয়ে যায়। সেই থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ওসি আজমল হুদা বলেন, "মামলাটি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। অভিযুক্তকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে আশা করছি।"
অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাসের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাফল্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে রিপন এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
এদিকে, ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "যদি রিপন действительно এই কাজ করে থাকেন, তাহলে তিনি সংগঠনের জন্য কলঙ্ক। আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।"
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির পরিবার এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তারা দ্রুত তাদের মেয়েকে ফিরে পেতে এবং অভিযুক্তদের বিচার চাইছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলাটি তদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই ঘটনার সত্যতা ও অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।