প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৫৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের মরাপাগলা গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে স্বামী মাজেদ বিশ্বাসের দাফন আটকে দেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী হামফুল বেগম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেন।
জানা গেছে, মাজেদ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর প্রায় বিশ বছর আগে হামফুল বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। এই সংসারে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। প্রায় ছয় মাস আগে মাজেদ বিশ্বাস অসুস্থ হয়ে পড়লে তার প্রথম পক্ষের দুই ছেলে লতিফুর রহমান ও জাব্বার চিকিৎসার নাম করে তাকে অন্যত্র নিয়ে যান এবং সেখানেই বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এরই মধ্যে ১৬ এপ্রিল হামফুল বেগমের কাছে তালাকনামা পাঠানো হয়। তবে হামফুল বেগম সেটি গ্রহণ করেননি। এই বিষয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগও করেন এবং ৫ মে একটি গ্রাম্য সালিশের দিন ধার্য করা হয়।
কিন্তু তার আগেই গত রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাজেদ বিশ্বাস। পরদিন সকালে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হলে হামফুল বেগম এবং তার আত্মীয়-স্বজনরা দাফনে বাধা দেন।
ঘটনার পর এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সালিশ বৈঠক বসে এবং সিদ্ধান্ত হয়, সম্পত্তির আইনানুগ সমবণ্টনের পর মরদেহ দাফন করা হবে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে মাজেদ বিশ্বাস অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন এবং ওই সময় তার ছেলেরা সুযোগ নিয়ে সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেয়। এতে দ্বিতীয় স্ত্রী হামফুল বেগম ন্যায়বিচার চেয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন।
হামফুল বেগমের ভাতিজি জানান, তার ফুফুকে জোর করে অন্যত্র রাখা হয় এবং তখন তাকে তালাক দেওয়া হয়, যদিও তার ফুফার মানসিক ও শারীরিক অবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। তিনি ফুফুর জন্য সুবিচার দাবি করেছেন।