সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শনিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা দোষর জাহের আলী গং কর্তৃক বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
সভায় স্বেচ্ছাসেবকদলের রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ তালুকদার লেবু লিখিত বক্তব্যে বলেন, সৈরাচার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা ত্রাণের সাথেই দখলের নেশায় মেতে উঠেছেন। তার ধারাবাহিকতায় দোষর জাহের আলী গং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম, আল-আমিন, রিয়াজুল ইসলামসহ অন্য নেতাদের রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে গত আগস্ট থেকেই গোপন ষড়যন্ত্র চলছে।
লতিফ তালুকদার আরও বলেন, দোষর জাহের গংয়ের এই মিথ্যাচার ঠেকাতে প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে। তিনি অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য সলঙ্গা থানায় লিখিত চিঠি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সলঙ্গা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ হোসাইন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভীত-ভয়ে রাখার জন্য এ ধরনের মিথ্যা মামলা বেড়েই চলেছে। দলীয় কর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে অনুরোধ জানান তিনি।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ এখন প্রতিদিনই রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত। মিথ্যা মামলা ও হয়রানির কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশ বিষয়ে গেছে। তিনি সতর্ক করেন, স্থানীয় গণতান্ত্রিক স্বার্থ রক্ষায় জনগণ প্রতিবাদে এগিয়ে আসবে।
ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক নান্নু মিয়া, আব্দুল আলিম, রেজাউল করিম এবং আয়নাল আকন্দ মিলে অভিযোগ করেন, দোষর জাহের গং নিজ স্বার্থ হাসিলেও রাজদাগ করে চলেছেন। তারা বলেন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সভায় সদস্য সামিউল ইসলাম ও সেরাজুল ইসলাম দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে মামলাগুলো বাতিল এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানান। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শেষে বক্তারা প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করেন, মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।