প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৭
ধনুসাড়া গ্রামের আবদুল মমিন নামে এক ব্যক্তি স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর মসজিদে ইমামতি করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে, মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৬০) কে গালমন্দ করার কারণে রেগে গিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর, মমিন স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর গুম করে দেন। এরপর তিনি গোসল করে ফজরের নামাজের ইমামতি করেন।
এই ঘটনায়, মমিনের মায়ের সঙ্গে তার স্ত্রীর দুর্ব্যবহার নিয়ে কথা বলার সময় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মমিন তার স্ত্রীর কাছে মায়ের সাথে খারাপ আচরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাহিদা বেগম গালমন্দ শুরু করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে মমিন তাকে হত্যা করে। হত্যার পর, মমিন স্ত্রীর মৃতদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখে গোসল করে মসজিদে চলে যান। সেখানে তিনি নামাজের ইমামতি করেন এবং পরে মসজিদ থেকে ফিরে এসে ছেলেকে ফোন করেন, জানিয়ে দেন যে তার মা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের ছেলে মাছুম বিল্লাহ ওই দিন সকালে পুলিশে অভিযোগ করেন। লাশ খোঁজার সময় মমিন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন, তাই প্রথমে তাকে সন্দেহ করা হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ২৭ মার্চ আবদুল মমিনকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মমিন স্ত্রীর হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতেও তার জবানবন্দি প্রদান করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মমিনের মায়ের সঙ্গে তার স্ত্রীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের ছিল এবং তার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় নতুন করে তদন্ত চলছে এবং মমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।