মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাঁঠালতলা বাজার সংলগ্ন ধামুসা মৌজার সরকারি খালের জায়গা দখলের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন মাঠে নেমেছে। জাতীয় দৈনিক দিনকাল ও প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাপা হলে বিষয়টি নজরে আসে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকারি খালের জায়গা মেপে আংশিক সীমানা নির্ধারণ করা হয়। লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা ভবনগুলো অবৈধভাবে খালের জায়গায় নির্মিত হয়েছে বলে জানান ইউএনও সাইফ-উল আরেফীন।
সরজমিনে জানা যায়, ৩৩ নং ধামুসা মৌজার বিআরএস ৭২১ নং দাগে নকশায় থাকা খালের জায়গায় সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ শাহআলম বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্তরা।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে মো. আতিকুর রহমান আজাদ ও সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম আদালতে পৃথক দুটি মানহানি মামলা করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায় প্রশাসনের দৃষ্টিতে।
প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খালের অংশে নির্মিত ভবনের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি জায়গার পরিমাপ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নিজ খরচে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিযুক্ত সৈয়দ শাহআলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কানুনগো সনাতন কর্মকার, সার্ভেয়ার মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা সার্ভেয়ার সামচুল আলম, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, প্রশাসন পর্যায়ক্রমে পুরো খালের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অবস্থান দৃঢ় এবং কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।