বিএসএফের গুলিতে নিহত হাসিনুরের লাশ দেশে ফেরত

বুধবার দুপুরে সীমান্তে ঘাস কাটার সময় বিএসএফের গুলিতে আহত হন হাসিনুর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।  

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১১টার দিকে সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৮১ ও উপপিলার ১৩-এর কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বিএসএফের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ওসি এবং বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের সুবেদার রেজাউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। নিহত হাসিনুরের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও চাচা রশিদুল ইসলামও লাশ গ্রহণে অংশ নেন।  

লাশ গ্রহণের পর বিজিবি ও পুলিশ তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। রাত ১২টার দিকে হাসিনুরের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুরো গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।  

বুধবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় হাসিনুর ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে রাইফেলের বাট ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জোরপূর্বক ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

হাসিনুরের মৃত্যুতে এলাকাবাসী এবং মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সীমান্তে এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।  

পাটগ্রাম থানার ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার জানান, ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তরের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তা পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাতেই দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।  

বিজিবি ৬১ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।