প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৫৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, মুজিবনগর সরকারের নাম কিংবা এর স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে কিছুই পরিবর্তনের পরিকল্পনা এ সরকারের নেই। তিনি বলেন, ইতিহাসের উপর আরোপিত কিছু করা যায় না, মুজিবনগর সরকার এবং এর শপথ গ্রহণের ঘটনাটি অমলিন, চিরস্মরণীয় এবং তা চিরকালই গৌরবের প্রতীক হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সূর্যোদয়ে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের শপথ জাতির ইতিহাসে গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়। এটা কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন বা বিকৃতি করার সুযোগ নেই।
ফারুক-ই আজম আরও বলেন, যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, অথচ নিজেদের পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার সচেষ্ট। অনেক মামলার নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা রক্ষায় সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের উন্নয়ন সম্পর্কেও তিনি বলেন, এখানে যেকোনো কাজ ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার আলোকে হবে। অতিরঞ্জিত বা মনগড়া কোনো বিষয় এখানে যোগ করা হবে না। যা কিছু থাকবে, তা সত্যিকারের ইতিহাস ভিত্তিক এবং প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হবে।
এদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার গ্রহণ এবং স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা জীবিত দুইজন গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিমদ্দীন এবং সিরাজ উদ্দিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
পরে উপদেষ্টা মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স ও ঐতিহাসিক আমবাগানের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। স্থানীয় প্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অতিথিরা দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং জাতির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেন।