সেনবাগে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ, পিবিআই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা দাবি

তিনি জানান, ১৪ এপ্রিল রাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ হামলার পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছেন পিবিআইয়ের কর্মকর্তা ইব্রাহিম পলাশ, যিনি অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের ভাই। শেখ আহমদের দাবি, এএসআই পলাশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত এবং নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে পরিবারটিকে নানাভাবে হয়রানি করছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে শেখ আহমদ আরও বলেন, তার বড় ছেলে আম চুরির প্রতিবাদ করায় প্রতিশোধ নিতে ওই রাতেই তার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। পরে তারা থানায় উল্টো শেখ আহমদের ছেলেদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয় নানা ধরনের অপপ্রচার।  

তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের মধ্যে সোহেল ও সুমন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা বিভিন্ন হত্যা মামলার আসামি হয়েও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজনৈতিক পরিচয় বদলে এখন বিএনপি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালাচ্ছে তারা।  

শেখ আহমদের দাবি, তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বড় ছেলে কুতুবেরহাট বাজারে ব্যবসা করেন, আর ছোট ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের ওয়ার্ড সভাপতি। এ অবস্থায় তার পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় হামলার আশঙ্কায় রয়েছে।  

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।  

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে এসআই ইব্রাহিম পলাশ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে সঠিক তথ্য তুলে ধরার পরামর্শ দেন।  

এদিকে সেনবাগ থানার এসআই কৃষ্ণ মোহন জানান, আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।