প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
আজ ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ১১ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রতি বছরের মতো এবারও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, সময়সীমায় এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
এর আগে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতো। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়সীমা কমিয়ে ৫৮ দিন নির্ধারণ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এর ফলে জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে শুধুমাত্র মাছ শিকার নয়, মাছ পরিবহন, সংরক্ষণ এবং বিপণনও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। তবে, জেলেদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার চাল সহায়তা কর্মসূচির আওতায় তাদের সহায়তা প্রদান করবে।
নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগেই অনেক জেলে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছেন। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, আলিপুর, মহিপুরসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় শত শত ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে নোঙর করেছে। জেলেরা পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।
মহিপুর এলাকার জেলে আব্দুল জলিল জানান, বছরের পর বছর ভারতীয় জেলেরা আমাদের সময়ের বাইরে মাছ ধরে সুবিধা নিত। এবার সময় মিল থাকায় সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি সরকারি প্রণোদনা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
জেলে মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, ভারতীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যেত। এবার সেসব অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে বলেই মনে করছেন তিনি।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা মিয়া বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানার ক্ষেত্রে জেলেরা সবসময়ই সহযোগিতা করে আসছেন। এবারও তারা সরকারের পাশে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার জানান, জেলার মোট নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮১ হাজার। এর মধ্যে ৪৭ হাজার সমুদ্রগামী জেলে। প্রত্যেক সমুদ্রগামী জেলেকে ৭৭ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।