মঠবা‌ড়িয়ায় এসএস‌সি পরীক্ষায় প্রক্সি দি‌তে এ‌সে দুই শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

পি‌রোজপুরের মঠবা‌ড়িয়ায় এসএস‌সি পরীক্ষায় প্রক্সি দি‌তে এসে দুই যুবক দণ্ডিত হওয়ার ঘটনা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শনিবার সকা‌লে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনুষ্ঠিত ভূগোল পরীক্ষায় প্রক্সির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের। স্থানীয় খাস মহল লতীফ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে এই ঘটনাটি ঘটে।

পরীক্ষার সময় সন্দেহ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাই করেন। এতে মোঃ ইয়া‌সিন নামে এক যুবক প্রকৃত পরীক্ষার্থী না হওয়ায় বিষয়টি সামনে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন দুইজনই।

পরবর্তীতে মঠবা‌ড়িয়া উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেক‌কে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভাণ্ডারিয়ার পশারীবুনিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক খানের ছেলে মোঃ ইয়াসিন (২৪) এবং রাজপাশা গ্রামের জাহিদ হাসানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন রনি (২৫)।

পরীক্ষা কেন্দ্রে একাডেমিক সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম হোসেন রনির স্থলে ইয়াসিন প্রক্সি দিতে আসে। এ সময় পরীক্ষার্থী আইডি কার্ড যাচাইয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং তারা দোষ স্বীকার করে।

একই দিন মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূমের বদলি আদেশের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতিবাদও উত্তাল হয়ে ওঠে। শহরের শহীদ মিনার এলাকায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় সর্বস্তরের জনগণ।

বক্তারা জানান, ইউএনও আবদুল কাইয়ূম মঠবাড়িয়ার দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন। তার মতো একজন সৎ ও সাহসী প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপজেলায় আরও কিছুদিন থাকলে অনেক অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন হতো।

উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল জারি করা বদলির আদেশ অনুযায়ী তাকে গলাচিপায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী সেই আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।