চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ছড়ানো মিথ্যা গুজব নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত ২৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু গুজব ছড়ানো হয়েছিল, যাতে দাবি করা হয়েছিল যে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজে পঁচা গরুর মাংস ব্যবহৃত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।

এ সময় ব্যবস্থাপক জানান, এসব খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, যার উদ্দেশ্য ছিল প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করা। তিনি বলেন, ‘‘গন্ডারের মাংস পাওয়া এবং ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সিলগালা করার যে অভিযোগ উঠে, তা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে কখনোই ঘটেনি।’’ এসব গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং অনেকেই এটি তাদের ব্যক্তিগত আইডি ও পেইজে শেয়ার করেছেন, যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য খুবই ক্ষতিকর হয়েছে।

ব্যবস্থাপক আরো জানান, গুজবের মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাফিজুল হক নামেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘এ ধরনের কোন কর্মকর্তা বেগমগঞ্জে কখনোই দায়িত্ব পালন করেননি।’’ এ কারণে, তিনি সবার কাছে এসব ভিত্তিহীন তথ্যের প্রতিবাদ জানাতে এবং সঠিক তথ্য জানাতে অনুরোধ করেন।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মিথ্যা গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতি করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য আইনের আওতায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’

এছাড়া তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানান, যাতে জনগণ বিভ্রান্ত না হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুনরুদ্ধার করা যায়। হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, প্রতিষ্ঠানটি সবসময় সততা ও খাঁটি উপকরণ ব্যবহার করে এবং তারা গ্রাহকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসনও এ ঘটনার বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য কাজ শুরু করেছে।