বরিশালে কচুরিপানায় লাশ উদ্ধার, রহস্য উন্মোচন ॥ দুই আসামী গ্রেফতার

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রিয়াজুল ইসলাম আজ বিকেল ৫টায় এয়ারপোর্ট থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় জরুরি সেবা ১৯৯-এর মাধ্যমে খবর পাওয়া যায় যে, বাঘিয়া গ্রামে মো. শাহজাহান হাওলাদারের কচুরিপানার মধ্যে একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে লাশটি শনাক্ত করা হয় মো. হাসান প্যাদার (৫০) হিসেবে, যিনি বকসিরচর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। হাসানের পরিবার তাকে শনাক্ত করেছে।

তিনি বলেন, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে যে, হাসানকে হত্যার পর তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে লাশটি কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তের ধারাবাহিকতায় পুলিশ প্রথমে সাকিব সরদার (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে, যার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে। সাকিবের কাছ থেকে হাসানের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সাকিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মুন্না হাওলাদার (২১) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করে, যার বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানায়।

আসামীদের জবানবন্দিতে জানা যায়, তারা হাসানকে মাদক সেবনের জন্য ডেকে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে হত্যা করে। হত্যার সময় সাকিব তার প্যান্টের বেল্ট দিয়ে হাসানের শ্বাসরোধ করে, আর মুন্না তাকে জোর করে ধরে রাখে। ঘটনার পর তারা লাশটি ডোবায় ফেলে দেয়।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, "আমরা দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করেছি। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।"