জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৪০ যাত্রীকে বাঁচিয়ে হাসপাতালে বাস চালক

সোহেল, সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে, ১৫ বছর ধরে বাস চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত সোমবার রাতে একুশে পরিবহনের বাস নিয়ে ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাচ্ছিলেন তিনি। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হওয়ার পর ১২ থেকে ১৩টি নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে একদল তরুণ বাসটি ধাওয়া শুরু করেন। প্রায় ৪০ কিলোমিটার ধাওয়া করার পর, কুমিল্লার লাকসাম এলাকায় বাসটি থামানোর জন্য চালককে লক্ষ্য করে দুটি দফায় ইট ছোড়া হয়, যাতে সোহেল আহত হন।

তবে সোহেল যাত্রীদের কথা চিন্তা করে রক্তাক্ত অবস্থায়ও বাস চালাতে থাকেন। যদি ডাকাতরা বাস থামাতে সক্ষম হতো, তাহলে তার প্রাণে আঘাত হতো, এমন আশঙ্কা তিনি প্রকাশ করেন। শেষ পর্যন্ত, সকল বাধা অতিক্রম করে সোহেল বাসটি নোয়াখালী সুধারাম থানার সামনে নিয়ে আসেন। পরে, যাত্রীরা থানায় ঢুকে পড়ে।

এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। বাসের মালিক সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও পুলিশ বিভিন্ন থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল চালকদের বাসের সামনে পথ না পেয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে।

এদিকে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাজীব আহমেদ চৌধুরী জানান, সোহেলের অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে। সোহেলের মাথা ও চোয়ালে ৩১টি সেলাই লেগেছে, এবং দুটি দাঁত ভেঙে গেছে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, "এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং পরবর্তীতে আপডেট জানানো হবে। তবে, বাস মালিক চাইলে মামলা নেয়া হবে।"