সরিষাবাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর

আজ দুপুরে আয়োজিত এই মানববন্ধনে আক্তারা বেগমের ভাই মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, খলিলুর রহমানসহ এলাকাবাসী বক্তব্য রাখেন। বক্তারা জানান, আক্তারা বেগমের স্বামী শান্ত মিয়া এবং তার পরিবার তাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। আক্তারা বেগমের দুঃখ ছিল যে, তার ঘরে ছেলেসন্তান হয়নি, যা তার স্বামীর পরিবারের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এর ফলে তাকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হতে হয়েছে।

তারা আরও জানান, ৩৩ বছর আগে গাছবয়ড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে শান্ত মিয়ার সঙ্গে আক্তারা বেগমের বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে চারটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু ছেলেসন্তান না হওয়ায় তার স্বামী তাকে বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করতেন। ২৭ মার্চ হঠাৎ করেই আক্তারা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তার নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ স্থানীয়দের চোখে পড়ে, যা পিতার বাড়ির পেছনে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।

স্থানীয়রা প্রথমে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আক্তারা বেগমের স্বামী শান্ত মিয়াসহ চারজনকে আটক করে। তবে পরে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মনে করছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং আক্তারা বেগমকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এসময় বক্তারা দাবি জানান, এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। তারা সতর্ক করে দেন যে, যদি তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে না মেনে নেওয়া হয়, তবে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।