জীবিকার তাগিদে ছাত্রদল সভাপতি ইটভাটার শ্রমিক

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ সুজন মিয়ার জীবন সংগ্রামের এক অনন্য উদাহরণ। দাউদপুর আলিম মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করার পর দাউদপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এই মেধাবী ছাত্রনেতা রাজনীতির পাশাপাশি সংসারের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।

সুজনের বাবা মোঃ আবুল হোসেন ও মা মোছাঃ শাহানা বেগম অসুস্থ। একমাত্র বোন ফাজিল (স্নাতক) শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। সংসারের সমস্ত বোঝা সুজনের কাঁধে। জীবিকার তাগিদে তিনি ইটভাটা ও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। পাশাপাশি দুই বছর ধরে রমজান ও ঈদুল ফিতরে চিনি-সেমাইয়ের ভ্রাম্যমাণ দোকান দেন। নিজের শ্রমের অর্থ দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গরিবদের সাহায্য করেন তিনি।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সুজনের অবদানও উল্লেখযোগ্য। দলীয় কর্মসূচি ও মিছিলে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন তিনি। উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহায়মিনুল ইসলাম মিনু বলেন, সুজনের মতো নিষ্ঠাবান ও আদর্শবাদী ছাত্রনেতা আজ বিরল। তার সংগ্রামী জীবন অন্যান্য তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান রাসেল সুজনের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, সুজনের মতো নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এই সংগ্রামী ছাত্রনেতা তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছেন, প্রতিকূলতাকে জয় করেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।