প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৩
নোয়াখালী সদর উপজেলায় চুরির সময় দেখে ফেলায় তাসলিমা বেগম রোজি নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া মো. ওবায়দুল হক ওরফে তারেক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে এক প্রেস কনফারেন্সে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে আলী আহমেদ ছাপরাশির বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত তাসলিমা বেগম রোজি ওই বাড়ির আমিন আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে একই গ্রামের তারেক চুরি করতে রোজির ঘরে ঢোকে। এ সময় রোজি দেখে ফেলায় তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় সে।
শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন এসে রোজিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আহসান উল্যাহ জসিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত তারেককে গ্রেপ্তার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম জানান, গ্রেপ্তার তারেককে আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে হত্যার দায় স্বীকার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারেক এর আগেও চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুত চার্জশিট দাখিল করা হবে।