গরু চুরি করে বিএনপির ভূরিভোজ, গ্রেফতার ২

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ভোজনের আয়োজনের জন্য গরু চুরির অভিযোগে বিএনপির নেতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের স্বাক্ষরিত এক অব্যাহতি পত্র দেওয়া হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে একজন হলেন, কয়ড়া বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরীর অনুসারী সুমন মন্ডল (৪০) এবং অপরজন হলেন, একই এলাকার মাংস ব্যবসায়ী (কশাই) ফজলুল প্রামানিক।

স্থানীয় পুলিশ ও সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বাড়িতে একটি ভোজনের আয়োজন করা হয়। এই ভোজের জন্য, বিএনপির কর্মীরা গত রাতে একটি গরু চুরি করে। ওই গরু চুরি করার পরে মাংস ব্যবসায়ী ফজলুল প্রামানিককে দিয়ে গরুটি জবাই করা হয় এবং রান্নার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

এফাজ মন্ডল নামে এক ব্যক্তি তার গরু না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজনসহ তিনি কয়ড়া বাজারে গরু সনাক্ত করেন। গরুর মাথা ও চামড়া দেখতে পেয়ে সনাক্ত করা হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা করতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবদল কর্মী সুমন ও মাংস ব্যবসায়ী ফজলুকে আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গরুর চামড়া, মাথা ও কিছু মাংস উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা অভিযোগ করেন, তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, "এটি একটি চক্রান্ত, আমাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফাঁসানো হয়েছে।"

মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে কিনা, তা ৭ দিনের মধ্যে তার কাছ থেকে বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, গরু চুরি বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।