দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দেশীয় কাঁচা মরিচের কেজিতে দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে হিলি স্থলবন্দর ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, একসপ্তাহ আগে দেশীয় প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর আজ সেই কাঁচা মরিচ মানভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বন্দরের আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ পাইকারী ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক দিন আগে বাজারে সরবরাহ কমের অযুহাতে হঠাৎ করে হিলিতে কাঁচামরিচের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। এমন দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম সহনশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড রোদের কারণে কাঁচামরিচ উৎপাদন কমে যায়। তাই বাজারে সরবরাহ কম ছিল। মোকামে বেশি দামে কিনতে হয়েছিল। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এখন ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। তাই দাম কমে এসেছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, অনুমতি পাওয়ার পর গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) বিকেলে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এখন প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। যেহেতু কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য সেহেতু কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড় করণ ও দেশের বাজারে দ্রুত সরবরাহের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে পানামা কতৃপক্ষ। এতে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়ও বেড়েছে।
হিলি কাষ্টমস সূত্রে জানা গেছে, গেলো বৃহস্পতিবার ২৩ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ভারতীয় ২২ টি ট্রাকে ২১২ মেট্রিক টন ২০০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।