প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১:৪৪
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। ব্যবসায়িরা বলছেন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ফলে খুচরা বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ভারত থেকে আর এস বি এন্টারপ্রাইজ আমদানি কারক প্রতিষ্ঠানের হিলি বন্দরের সি এন্ড এফ শোভন ট্রেডার্সের পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিন একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার অযুহাতে ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের গত ৪ মে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করি। ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় নানা জল্পনা কল্পনা শেষে ১১ দিন পর আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কহার কমা না হলে আমাদের লোকশান গুনতে হবে। আজকের এই পেঁয়াজে লোকশান হবে মনে হচ্ছে কি পরিমাণ লোকশান হবে বেচা বিক্রি করলে বুঝা যাবে। তবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের দাম আসন্ন কোরবানির ঈদে বাড়বে না বলেও জানান তিনি।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ বলেন, ভারত সরকারের রফতানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। আজ দীর্ঘ দিন পরে ভারত থেকে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। একটি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ মেঃ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যেহেতু পেঁয়াজ কাঁচামাল সেহেতু কাস্টমস এর সকল কার্যক্রম শেষে যত দ্রুত সম্ভব দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য পানামা পোর্ট কতৃপক্ষ সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, শুনলাম আজ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে যাবে। আজ খুচরা বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছি বলে জানান তিনি।