প্রেম করে বিয়ে, স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় হাতুড়িপেটা! ৯৯৯-এ উদ্ধার

ফরিদপুরের সালথায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন চলাকালে এক নববধূকে হাতুড়িপেটা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে পুলিশের সহায়তায় নববধূ মোরশেদা খানমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সালথার বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাড়ীয়া গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে নিশাত শেখের সঙ্গে মাঝারদিয়া ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সরদারের মেয়ে মোরশেদা খানমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

গত ৯ এপ্রিল তারা নিজেরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের তিন দিনের মাথায় হঠাৎ স্বামী নিশাত তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে নববধূ মোরশেদা বুধবার বিকেলে শশুর বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। এসময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন মোরশেদার ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে মোরশেদার বড় বোন ৯৯৯ এ ফোন দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোরশেদাকে উদ্ধার করে।

আহত নববধূ মোরশেদা খানম বলেন, ‘বিয়ের পর তিন দিন নিশাতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল। এরপর আমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে বুধবার বিকেলে নিশাতের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেই। কিছু সময় পর নিশাত, তার বাবা, চাচা সকলে মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমি আমার বাড়িতে জানালে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিশাতের বাড়ি থেকে আমাকে উদ্ধার করে।’

মোরশেদা খানমের বড় বোন রাশিদা আক্তার বলেন, ‘মোরশেদা আমাকে বিষয়টি জানালে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জানালে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে বোনকে উদ্ধার করে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকলে মিলে মেরেছে আমার বোনকে।’

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মোরশেদা খানমকে উদ্ধার করা হয়। এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’