প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩:১২
আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে আশাশুনিতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে ভিড়, মার্কেটগুলোতে বাড়ছে কেনাবেচার ব্যস্ততা।মার্কেট গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদের সময় যত এগিয়ে আসছে মার্কেটে লোকজনের কেনাকাটা ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। সকাল থেকেই মানুষের উপস্থিতি আর বিক্রেতাদের হাক ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার সব জিনিসের দাম বেশি।
এদিকে পোশাকের দাম চড়া স্বীকার করে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়েছে। প্রথম দশ রোজা পর্যন্ত আশাশুনির মার্কেটে ঈদের পোশাকের বেচাকেনা একে বারেই ঢিলেঢালা ছিল।এরপর থেকে বাজারে ক্রেতা সমাগম আর বেচাকেনা দুটোই বেড়েছে। এ বছর উপজেলার বিপণিবিতান গুলোতে জায়গা করে নিয়েছে নারীদের নায়রা, সারারা ও গারানায়রারা নামের পোশাক।
এ ছাড়া থ্রিপিস, ফ্রকের পাশাপাশি নারীরা কিনছেন শাড়ি।মেয়ের জন্য জামা কাপড় কিনতে আসা করিম মিয়া বলেন, ঈদ মার্কেট করতে এসে হিমসিম খাচ্ছি। সব জিনিসের দাম বেশি। মধ্যবৃত্তদের জন্য ঈদ মানে কষ্ট নিজের জন্য কিছুই কিনছি না। সব কেনাকাটা ছোট বাচ্চা ও আত্মীয়স্বজনের জন্য।অন্যদিকে বিক্রি ভালো না হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিক্রেতারা জানান, নারীদের মধ্যে নায়রা ও সারারা ড্রেসের চাহিদা বেশি।
আর বরাবরের মতো ঈদে পুরুষের পছন্দ পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট ও টি শার্ট।ক্রেতাদের অভিযোগ, দোকানিরা যে দাম চাচ্ছেন, তা সাধারণ সময়ের তুলনায় ২/৩ গুণ বেশি। অবশ্য বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে বলেই দাম বেশি।বুধহাটা বাজারের মনরমা ক্লথ ষ্টোরের মালিক দেবদুলাল দেবনাথ বলেন, প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের সবকিছু বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে।
ফলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।শ্রী গুরু বস্ত্রালয়ের মালিক চন্দন দেবনাথ বলেন নায়রা, সারারা ও গারারা পোশাক সর্বনিম্ন আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাঞ্জাবি ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধহাটা বাজারের বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান জুলু বলেন, ঈদ কে সামনে রেখে বেচাকেনা বেড়েছে। সব ঠিকঠাক রয়েছে। উপজেলা প্রসাশন ও থানার সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযাগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কোন অসুবিধা হয়নি এবং হবেও না বলে আশা করি।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী বলেন, ঈদ কে সামনে রেখে আমাদের বাড়িতে প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি।