
প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৮

সরাইল উপজেলা শীতের শুরু থেকে আবাসিকে চরম গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল ৬টার পর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছে না। রান্নার চুলা জ্বলছে মিটমিট করে। এ মুহূর্তে গ্যাস সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। গত ২০/২৫ দিন যাবত চরম গ্যাস সংকট বিরাজ করছে।
এই প্রচন্ড শীতের মধ্যে সকালে ঘুম থেকে উঠে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাস নেই। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমার বাচ্চার জন্য খাবার তৈরি করতে হবে। ওকে কী খাওয়াব বুঝতে পারছি না,' বলছিলেন সরাইল সদর ইউপি গৃহিণী রাবেয়া।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় সকাল ৮টায় বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের সামনে লোকজনের ভীড়। সবাই এসেছেন সকালের নাস্তা কিনতে।শফিক নামে এক জন জানান, বাসার চুলায় গ্যাস না থাকায় ঘরে সকালের নাস্তা বানানো যাচ্ছে না, তাই তিনি রেস্টুরেন্ট থেকে পরোটা, সবজি আর চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের সবার জন্য।

অনেকেই বিকল্প হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করছেন। তারা জানিয়েছেন এমনিতে নিত্যপূর্ণের দাম কিভাবে বেড়েছে।তার মধ্যে এখন গ্যাসের ঝামেলা।গ্যাসের সংকটে' গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এখন সংসারে আয়ের থেকে ব্যয় বেশী বেড়ে গেছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন থেকে যে গ্যাস পাচ্ছি তার চাপ ৪০ পিএসআই। কিন্তু গ্রাহকদের স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহের জন্য ৬০ পিএসআই চাপ প্রয়োজন। ফলে আমরা ইচ্ছে করলেও স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি না’।’
এছাড়া শীতের সময় পাইপলাইনে গ্যাস কিছুটা জমে যায়। ফলে চাপ কমে যায় গ্যাসের। তবে গ্রাহক দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন’।